মৃত্যু
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। কেউ এর বাইরে যেতে পারেনা। আজ আমারা মৃত্যু নিয়ে একটা গল্প উপস্থাপন করছি———————
এক ধনী আর ভগবানভীরু বৃদ্ধ লোক একদিন নিজের সন্তানকে ডেকে বলল: আমার বয়স হয়েছে, যেকোন দিন আমাকে চলে যেতে হবে পর পাড়ে। আমার একটা শেষ অনুরোধ আছে তোমার কাছে, আমি মারা গেলে স্নান এর পর যখন কাপড় পরানো হবে, আমার পুরাতন মোজা গুলো আমাকে পরিয়ে দিও।
ছেলে বলল: এটাতো কোন বড় চাওয়া না। আমি তোমার শেষইচ্ছা পুরন করব।
এর কিছুদিন পর লোকটি মারা গেল। আত্মীয়, পড়শী সবাই আসল শেষবারের মত দেখতে। কাপড় পরানো শেষ হলে শোকে কাতর ছেলের হঠাৎ মনে হল বাবা’র শেষ ইচ্ছের কথা, আর তখনি বাবার পুরাতন মোজা খুজে নিয়ে আসলো। কিন্তু মোজা পরাতে সবাই বাধা দিল। সবাইকে অনেক অনুরোধ করলেও কেউ রাজী হলনা না। কারণ এক টুকরা সাদা কাপড় ছাড়া আরকিছু দেয়া সনাতন ধর্মে নিয়মে নেই। কিন্তু ছেলে অনড় বাবার ইচ্ছা পুরনে। এমনসময় তার বাবা’র এক বন্ধু এগিয়ে এসে ওকে বলল: গতকাল তোমার বাবা আমাকে একটা চিঠি দিয়ে বলেছিল, সে মারা গেলে আমি যেন এটা তোমাকে শ্মশান ঘাটে কাজের সময় তোমার হাতে দেই। ছেলে অবাক হয়ে চিঠি নিল আর পড়তে লাগল…. “… আমি আমার সব সম্পদ ছেড়ে চলে গেলাম। আমি জানি তুমি এখন আমার শেষ ইচ্ছা পুরণ করতে চেষ্টা করছ। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তুমি আমাকে একটা পুরোনো মোজা দিতে পারলেনা!! এটাই নিয়ম। একদিন তোমাকেও আমার মত সব সম্পদ, আত্মীয়, বন্ধু সবাইকে ছেড়ে আসতে হবে- সেদিন তুমিও শুধু তোমার ভাল কাজ আর ধর্ম যা তুমি পালন করবে সেগুলো নিয়ে আসতে পারবে। এছাড়া একটা মোজাও আনতে পারবেনা। নিজে খারাপ পথ অনুুসরণ করোনা, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি’র চেষ্টা কর, জীব সেবা কর যা করলে- উভয় জীবনই সন্মানিত হবে। নিয়ম সন্ধ্যা বাদ দিওনা গীতা পরবে আর মনে রেখো গরীব, অসহায় দেরও তোমার সম্পদে অধিকার আছে। মৃত্যুর কথা ভেবে কাজ করবে-ভালো থেকো”।
শিক্ষাঃ প্রতিটা মানুষ কে মৃত্যু কথা ভেবে পর-পাড়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ করা উচিৎ।
(সংগৃহীত)